সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৮ পূর্বাহ্ন
বরগুনা প্রতিনিধি॥ বরগুনার আমতলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম সরোয়ার ফোরকানকে ঋণখেলাপির দায়ে চেয়ারম্যান পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে আদালত।
বুধবার বরগুনা প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালত ও নির্বাচন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আল মামুন এই রায় দেন। একইসঙ্গে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শামসুদ্দিন আহম্মদ ছজুকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করে নির্বাচন কমিশনকে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন।
২০১৯ সালের ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত আমতলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ঋণখেলাপির তথ্য গোপন করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আনারস প্রতীকে অংশগ্রহণ করে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন গোলাম সরোয়ার। পরে ঋণখেলাপির দায়ে ফোরকানকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে ছজুকে উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষণার জন্য ওই বছরের ২১ এপ্রিল আদালতে মামলা দায়ের করেন ছজু।
মামলার রায়ে আগামী ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে ফোরকানকে আমতলী উপজেলার পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে ছজুকে উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনকে গেজেট নির্দেশ প্রদান করেছে আদালত।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালে পটুয়াখালীর রূপালী ব্যাংকের শাখা থেকে নিজ নামে এক বছর মেয়াদে ১৮ লাখ টাকা ঋণ তোলেন ফোরকান। যা সুদে-আসলে ২৪ লাখ টাকায় দাঁড়ায়। এছাড়াও নিজের মালিকানাধীন বনানী ট্রেডার্সর নামেও এক বছরের মেয়াদে ঋণ তোলেন গোলাম সরোয়ার ফোরকান। যা সুদে-আসলে দাঁড়িয়েছে ২৭ লাখে। যথাসময়ে এই ঋণ পরিশোধ না করায় ২০১৪ সাল থেকেই বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণ খেলাপির তালিকা নাম ওঠে গোলাম সরোয়ার ফোরকানের।
২০১৯ সালের ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত আমতলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে মনোনয়নপত্রে গোলাম সরোয়ার ফোরকান তার ঋণখেলাপির তথ্য গোপন করে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এরপর নির্বাচনে বিজয়ী হন তিনি।
এ বিষয়ে শামসুদ্দিন আহমেদ ছজুর আইনজীবী অ্যাডভোকেট জগদীশ চন্দ্র শীল বলেন, ২০১৮ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর ফোরকান তার ঋণের অনুকূলের শতভাগ সুদ মওকুফের জন্য রুপালী ব্যাংকের প্রধান শাখায় আবেদন করেন। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে ওই বছরের ২০ ডিসেম্বর এক বছরের মধ্যে প্রদানের জন্য ৮০ ভাগ সুদ মওকুফ করা হয়। এ টাকাও তিনি যথাসময়ে পরিশোধ করতে ব্যর্থ হন।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা দিলীপ কুমার হাওলাদার বলেন, এখন পর্যন্ত কোনও আদেশ আমাদের কাছে এসে পৌঁছেনি। আদালতের আদেশ কপি পেলে আমরা বিষয়টি নির্বাচন কমিশনারকে জানাবো।
চেয়ারম্যানের থেকে অব্যাহতি পাওয়ার বিষয়ে জানতে চেয়ে গোলাম সরোয়ার ফোরকানের মুঠোফোনে কল দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
Leave a Reply